এইচ এন আলম:

বাংলাদেশের সহকারী এটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এডভোকেট আনিচ উল মাওয়া (আরজু) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

তিনি কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি প্রয়াত সিনিয়র এডভোকেট আবুল বশর সাহেবের কন্যা এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তাকীমের (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য) সুযোগ্যা স্ত্রী।
তারা আপন চারবোন আইন পেশায় নিয়োজিত এবং আপন চার বোনের স্বামীও আইন পেশায় রত। বলতে গেলেই আওয়ামী পরিবার।

এড. আরজু কক্সবাজার সমিতি- ঢাকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি-ঢাকার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি জানান, মনোনয়ন পেলে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতায় নিজ এলাকার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।

সেই ধারাবাহিকতায় তিনি কর্মজীবনেও সান্নিধ্য পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন , মাননীয় মন্ত্রী এডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম , বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ড. জে কে পাল যাদের সাহচর্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি এবং পেশাদারিত্বের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক দলীয় রাজনীতিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
সর্বোপরি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সাথে প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাঁর শশুর বাড়ীও কক্সবাজার সদরে অবস্থিত বিধায় তিনি সার্বক্ষণিক নিজ এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।তাঁর ভাসুর এডভোকেট আয়াছুর রহমান কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বিভিন্ন পদে ১৯৮২ ইং সাল থেকে নিযুক্ত।

এড.আরজু এলাকার শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন সবসময়।

এড,আরজু বিগত করোনা কালীন সময় জেলার উদ্যোগী মানুষদের সাথে করোনা তহবিল গঠন করেন, কক্সবাজার সমিতি ঢাকার মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হাই ফ্লু অক্সিজেন সরবরাহে এবং ব্যক্তিগতভাবে অসহায় মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র মাধ্যমে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নগদ সাহায্য, দুঃস্হ ও অসহায় কক্সবাজারবাসীকে সেলাই মেশিন ও ভ্যানগাড়ী বিতরণ করেন।
তিনি কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আজীবন সদস্য।
তিনি সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে অসহায়দের আইনি সহায়তা দিয়েছেন।

তাছাড়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চৌফলদণ্ডী সবুজবাগ ট্রাস্ট ও মডেল স্কুলের একজন গর্বিত পরিচালক।
তাঁর নানাবাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া এবং দাদাবাড়ি পেকুয়ায় অবস্হিত এবং সকল আত্মীয় স্বজন পুরো কক্সবাজার জেলা জুড়ে বিস্তৃত। তিনি সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হলে তিনি নিজেকে সার্বক্ষণিক জনসেবায় উৎসর্গ করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি সকল সহযোগীতা কামনা করেছেন।